রাশি, নক্ষত্র ও ভাগ্য – Astrology & Palmistry Consultant in India

MyAstrology Ranaghat  মানুষের ভাগ্য কি আগে থেকে লেখা? বিজ্ঞান, দর্শন ও জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্লেষণ – পশ্চিমবঙ্গের সেরা জ্যোতিষী মানুষ জন্ম নেয়, আবার একদিন মৃত্যুবরণ করে। এই জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যাত্রাপথের মাঝেই ঘটে বহু ঘটনা—প্রেম, আশা, স্বপ্ন, দুঃখ, সংগ্রাম, সাফল্য ও ব্যর্থতা। অনেকেই মনে করেন, এই সমস্ত কিছুই আমাদের জন্মের আগে থেকে নির্ধারিত। আমরা কেবল সেই লিখিত পথটিই অনুসরণ করি। আবার অনেকে বলেন—মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা ও প্রচেষ্টাই ভাগ্যের গতিপথ নির্ধারণ করে। প্রশ্ন জাগে— সবকিছুই কি পূর্বনির্ধারিত? নাকি মানুষই নিজের ভাগ্যের সহ-নির্মাতা? ব্রহ্মাণ্ড ও মানুষের সংযোগ প্রাচীন দর্শন থেকে শুরু করে আধুনিক বিজ্ঞান পর্যন্ত, একথা স্পষ্ট যে মানুষ কখনোই মহাবিশ্ব থেকে আলাদা নয়। উপনিষদে বলা হয়েছে—“ যথা পিণ্ডে তথা ব্রহ্মাণ্ডে ”—অর্থাৎ, মানুষের শরীর-মনের মধ্যে মহাবিশ্বের প্রতিচ্ছবি বিরাজ করছে। আমরা যে প্রতিটি শ্বাস নিই, তা কেবল ব্যক্তিগত প্রক্রিয়া নয়; এটি মহাবিশ্বের ছন্দের সঙ্গেই যুক্ত। কোয়ান্টাম থিওরি ও পূর্বনির্ধারণের ধারণা আধুনিক পদার্থবিদ্যার Quantum Entanglement ধারণা আমাদের এক নতুন দ...

My Astrology Ranaghat  অর্থ, অনর্থ ও মানবজীবনের দ্বন্দ্ব লেখক: জ্যোতিষী ও হস্তরেখা বিশেষজ্ঞ প্রদ্যুত আচার্য  শাস্ত্রকারগণ সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন— “অর্থ অনর্থের মূল।” এই একটি বাক্য যেন সমগ্র মানবসভ্যতার ইতিহাসকে কষাঘাত করে। সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি মানুষ প্রতিনিয়ত অর্থের জন্য সংগ্রাম করেছে। অর্থ মানুষকে দিয়েছে প্রাচুর্য, উন্নতি, ক্ষমতা, আবার একই অর্থ মানুষকে করেছে দুঃখী, স্বার্থপর, নির্মম ও নিষ্ঠুর। অর্থের দ্বৈত চরিত্র—এই দ্বন্দ্বই শাস্ত্রকারদের চোখে ধরা পড়েছিল বহু সহস্র বছর আগে। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে—রাশিচক্রের দ্বিতীয় ভাব , অর্থাৎ ধনভাব, যেখান থেকে মানুষের স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পদের বিচার হয়, সেই ঘরটিকেই মহর্ষি পরাশর মারকস্থান বলেছেন। শুধু তাই নয়, রাশিচক্রের সপ্তম ভাব —যেখান থেকে মানুষের বিবাহ, দাম্পত্য জীবন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যৌন সম্পর্ক বিচার করা হয়—সেই ঘরকেও তিনি মারক বলে ঘোষণা করেছেন। 📖 প্রমাণ (সূত্র): বৃহৎ পরাশর হোরাশাস্ত্র – মারকাধ্যায় “দ্বিতীয় সপ্তমে যো: স্থানং মারক স্থানমুদাহৃতম্।” (অর্থাৎ—জন্মকুণ্ডলীর দ্বিতীয় ও সপ্তম ঘরকেই শাস্ত্রে মারকস্থ...

পুরাণ, দর্শন ও আধুনিক জীবনের প্রাসঙ্গিকতা MyAstrology  ভারতীয় পুরাণে দেবতা, অসুর, মানুষ, যক্ষ, গন্ধর্ব, রাক্ষস প্রভৃতির পাশাপাশি এক বিশেষ শক্তিগোষ্ঠীর উল্লেখ পাওয়া যায়— গণ । এরা হলেন মহাদেব শিবের অনুচর, সহচর ও রক্ষকবাহিনী। “গণ” শব্দের অর্থ দল বা গোষ্ঠী। তারা ভয়ঙ্কর হলেও ভক্তদের জন্য কল্যাণময় শক্তি। এই প্রবন্ধে আমরা দেখব—পুরাণে গণদের উৎপত্তি, প্রকৃতি, নেতা গণপতি গণেশ, দার্শনিক তাৎপর্য এবং আধুনিক জীবনে এর প্রতীকী মানে। গণদের উৎপত্তি ও প্রকৃতি শিবপুরাণ ও স্কন্দপুরাণে বলা হয়েছে, গণরা শিবের ইচ্ছাশক্তি থেকে উৎপন্ন। কখনো এরা ভূত, প্রেত, যক্ষ বা পিশাচজাতীয় শক্তি, আবার কখনো সঙ্গীত ও নৃত্যপ্রিয় রক্ষক। কৈলাসে শিবের চারপাশে তারা নিত্য অবস্থান করে। শিবের তাণ্ডব নৃত্যে ও ভক্তরক্ষার কাজে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। গণদের প্রকৃতি ও শ্রেণিবিন্যাস ভূতপ্রেতজাতীয় – শ্মশান ও অন্ধকারে বিচরণকারী। যক্ষ ও রক্ষক – ধনরত্ন ও প্রাকৃতিক সম্পদের রক্ষক। নৃত্য ও সঙ্গীতপ্রিয় – শিবের আনন্দতাণ্ডবের সঙ্গী। ধর্মরক্ষক – শিবভক্তদের সর্বদা রক্ষা করে। দ্বৈত স্বভাব – ভয়ঙ্কর হলেও ভক্তের জন্য শুভশক্তি। শ...

MyAstrology  জীবন যেন এক জটিল জ্যোতিষচক্র , যেখানে প্রতিটি করণ নির্ধারণ করে ভবিষ্যতের পরিণাম। যেমন বীজে লুকিয়ে থাকে বৃক্ষের সম্ভাবনা, তেমনি কর্মের গভীরে নিহিত থাকে ফলাফলের বীজ। অতএব, করণ শুধুই বাহ্যিক আচরণ নয়; এটি এক অন্তর্জাগতিক প্রতিক্রিয়া, যা সময় ও গ্রহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, করণ একধরনের অদৃশ্য গতিবিধি যা মানব জীবনের সিদ্ধান্ত ও ঘটনা প্রবাহে স্পষ্ট প্রভাব ফেলে। আমাদের জন্মকুণ্ডলী বা হস্তরেখা এই করণগুলোর সূক্ষ্ম ছাপ রেখে যায়। করণ আর কারণের ভেদরেখা হয়ত দৃষ্টিগোচর নয়, কিন্তু এদের মেলবন্ধনে সৃষ্টি হয় জীবনের নির্ধারিত প্রবাহ। জীবন কখনো কখনো আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে, যা তৎক্ষণাৎ যুক্তিহীন মনে হয়। কিন্তু জ্যোতিষ মতে, সেসব সিদ্ধান্তও এক নির্ধারিত গ্রহগত সংযোগ থেকে উদ্ভূত হয়। এখানে পার্থিব কর্ম ও জ্যোতিষীয় পরিণতি একসঙ্গে কাজ করে। তাই বুঝতে হবে, কাজের পূর্বে করণ, করণের পেছনে কারণ এবং তারই ভিতরে নিহিত ভবিষ্যৎ। গীতার বাণীতে বলা হয়েছে, “কর্মে অধিকার রয়েছে, ফলে নয়।” এটি শুধু এক দার্শনিক উপদেশ নয়, বরং বাস্তব জীবনের এক...

MyAstrology  জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ২৭টি নক্ষত্র —অশ্বিনী থেকে রেভতী—প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি নির্দিষ্ট মানসিক ও আত্মিক রূপান্তরের প্রতীক। জন্মকালে চন্দ্র যেই নক্ষত্রে থাকে, সেটাই নির্ধারণ করে তার মূল স্বভাব এবং জীবনের ছন্দ। যেমন—অশ্বিনী নক্ষত্র কর্মপ্রবণতা ও গতি বোঝায়, যেখানে অনুরাধা প্রতীক স্থিতিশীলতার। আমাদের কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র, এক তরুণ শিক্ষক—যার জন্মনক্ষত্র জ্যেষ্ঠা । প্রাথমিক জীবনে দুর্দশা, মানসিক সংঘর্ষ, এবং পারিবারিক টানাপোড়েনে বড় হয় সে। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের প্রভাবে তার অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বগুণ ও আত্মসমালোচনার প্রবণতা প্রকাশ পায়। সে ধীরে ধীরে উপলব্ধি করে, জন্মনক্ষত্র তাকে দুর্বল করেনি, বরং এক আত্ম-অনুসন্ধানী করেছে। জ্যোতিষ অনুযায়ী, প্রতিটি নক্ষত্রের অধিপতি গ্রহ রয়েছে—যেমন অশ্বিনীর রাহু, কৃত্তিকার সূর্য, অনুরাধার শনি। এসব গ্রহ-নক্ষত্রের মেলবন্ধন জীবনের মেজর টার্নিং পয়েন্ট নির্দেশ করে। রবি, চন্দ্র ও রাহু র দৃষ্টিভঙ্গিতে নক্ষত্রপথ বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়—একটি ছোট নক্ষত্রও বড় নিয়তি বদলে দিতে পারে। এই শিক্ষকের কাহিনিতে আসে এক পালাবদল। তার জীবনে প্রবেশ করে একজন আধ্...

  MyAstrology  জীবনের রহস্যে বারবার ফিরে আসে "যোগ" শব্দটি। জ্যোতিষশাস্ত্রে ২৭টি মূল যোগ বা planetary combinations জীবনের ঘটনাবলিকে নির্ধারণ করে। মহর্ষি পরাশর থেকে শুরু করে আধুনিক মনস্তত্ত্ববিদরাও স্বীকার করেন, আমাদের চিন্তা ও সিদ্ধান্ত নির্ভর করে এক প্রকার শক্তি-সংযোগের উপর। বারো মাসের গ্রহচক্র অনুযায়ী এই যোগের প্রবাহ ওঠানামা করে। এমনকি মানসিক বিশ্লেষণেও যোগের ভিত্তি রয়েছে। প্রতিটি গ্রহ এক একটি চরিত্র। যেমন, বুধ যখন চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন বুদ্ধিবৃত্তি ও আবেগের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এইরকম সময়চক্রের রঙ বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় জীবনের জটিল সম্পর্কগুলি। জ্যোতিষ অনুযায়ী চন্দ্র-রাহু যোগ যেমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, তেমনই শনি-মঙ্গল যোগ দেয় কর্তব্যপরায়ণতা। বারো মাসের বরান্দা থেকেই বোঝা যায় কিভাবে প্রতিটি মাসের সাথে নির্দিষ্ট যোগ মিলে জীবন বদলে দেয়। শ্রাবণে চন্দ্র-শুক্র যোগ প্রেম নিয়ে আসে, আবার চৈত্রে সূর্য-বুধ যোগ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য দেয়। এগুলিই হল বাস্তব জীবনের যোগদর্শন। এই যোগগুলি কেবল গ্রহের গাণিতিক সংযোগ নয়, এগুলো সময়ের দর্শন। যেমন প্ল্যানেটারি গাইডেন্স আমাদের সিদ্ধা...