সিংহ লগ্নের মানুষের স্বভাব, চরিত্র, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য

Leo,  জ্যোতিষ শাস্ত্র, সিংহ রাশি
সিংহ লগ্ন

দেহভাব ও প্রকৃতি - সিংহ লগ্নের জাতক জাতিকারা দার্শনিক মনােবৃত্তিযুক্ত, উদার, পরােপকারী, কল্পানাপ্রবন, উচ্ছাসযুক্ত, স্মৃতিশক্তিযুক্ত নির্জনতাপ্রিয়, ভ্রমনপ্রিয়, আধ্যাত্মিক ভাবধারা যুক্ত পেটুক এবং দাতা হয়।

অন্যান্য - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য 70 বছর না খেয়ে বেঁচে আছে এই ব্যাক্তি


বিদ্যাস্থান -এদের বিদ্যাস্থান ধনুরাশি, বৃহস্পতি হল ধনুর অধিপতি। রবির সঙ্গে বৃহস্পতির সম্পর্ক ভল বলে এরা বিদ্বান ও শ্রুতিধর হয়।

কর্মস্থান - সিংহের জাতকদের কর্ম পতি হল শুক্র ও কোনপতি বৃহস্পতি। তাই তাদের রাশিচক্রে বৃহস্পতি ও শুক্র যে ভাবেই থাক না কেন কিছু সুফল এরা পাবেই। এদের কর্মদাতা হলেন শুক্র। তবে সিংহধিপতি রবির সম্পর্ক শুক্রের সঙ্গে বিশেষ ভাল নয়। তাই এরা সামান্য ভুল হলেই কর্মস্থল ও কর্মের ধারা পালটিয়ে থাকে। এরা ভীষণ জেদী ও সেন্টিমেন্টাল হয়। আবার এদের মধ্যে সরলতা ও পরােপকারী মনভাব এত বেশী যে, জীবনে বহুবার নানাভাবে ঠকতে হয়। মিল, কারখানার পরিচালক, 
এ্যাডমিনিষ্টেটার ও দক্ষ কর্মী হিসাবে সুখ্যাতি লাভ করতে পারে। এছাড়া সৃষ্টিমূলক কাজে এরা অগ্রনী হয়। কাজেই সিংহের জাতকের সৃষ্টি ক্ষমতা অধিক এবং পােষাক ও পরিচালকও বটে। সেইকারণে এরা আশ্রিতবৎসল হয়।

বিবাহ - কুম্ভরাশি হল সিংহের সপ্তম কুম্ভরাশি অধিপতি শনি। শনি রবি সুত হয়েও রবির শত্রু, তাই এদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না। শুভগ্রহ যদি সপ্তমে থাকে, তাহলে। সামাজিক বিয়ে হয়। তা না হলে প্রনয় ঘাটিত অসবর্ন বিয়ে হতে পারে। এই লগ্নের জাতকদের স্ত্রী বিশেষ সুন্দরী হয় না এবং বয়স কম হলেও পত্নীকেই বেশী বয়স মনে হয়। তবে এদের স্ত্রী পতিব্রতা ও ধর্মশীলা হয়। বিয়ের পরে এদের জীবনে আর্থিক উন্নতি হয়। এদের সাধারনতঃ ২১ থেকে ২৭ বৎসর বয়সের মধ্যে বিবাহ শুভ হয়।  


সন্তানস্থান - সিংহের পুত্রস্থান হল ধনুরাশি, বৃহস্পতি হলেন এর অধিপতি, তিনি কান্তিমান, পুরুষ। তাই সিংহের জাতক-জাতিকাদের প্রথমে পুত্র সন্তান হয়। সেই পুত্র জ্ঞানী, শিক্ষিত, মর্যাদাশীল এবং যশস্বী হয় এদের অধিক সন্তান হয় না। একটি থেকে তিনটি সন্তান হয়। তবে বেশীই হয়,ছেলে। তবে পঞ্চমে বৃহস্পতি শুভ প্রভাব না থাকলে দুএকটি সন্তান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অন্যান্য - এই কয়েকটি জিনিস ঘরে রাখুন, জীবনে কোনদিন টাকা-পয়সার অভাব হবেনা


ভাগ্যস্থান - মঙ্গল হলেন সিংহের ভাগ্যপতি। তিনি হলেন মেষের অধিপতি। তাই তার স্থান মধ্য স্বর্গে। আবার সিংহের অতি মিত্র গ্রহ হল মঙ্গল। এই ঘরেই বলবান বেশী হন রবি। কারন এটা হল তার তুঙ্গ ক্ষেত্র। তাই রবি যদি মেষে থাকেন এবং মঙ্গল যদি সিংহে থাকেন তা হলে জতকেরা পরম সৌভাগ্যবান হন।

আয়স্থান - মিথুন রাশি হল সিংহলগ্নের জাতক-জাতিকাদের আয়স্থান। বুধ হল এর অধিপতি। বুধ হল রবির নিকটস্থ ও পরমাত্মীয় গ্রহ। তাই বুধের কিছু প্রভারও এই লগ্নের জাতক-জাতিকার আয়ের অংশ গ্রহন করে। এরা এদের বুদ্ধির প্রয়ােগ দ্বারাও অর্থ উপাজনের। প্রচুর সুযােগ সুবিধা পেয়ে থাকে।

অন্যান্য - গায়ত্রী মন্ত্রের বৈজ্ঞানিক গবেষণা 


ব্যয়স্থান - চন্দ্র হলেন এই লগ্নের ব্যয়পতি। সেই জন্য সিংহের জাতকেরা পয়সা কড়ি মােটেও রাখতে পারে না। এদের মােটেই সঞ্চয় নেই।

বন্ধুস্থান - বৃশ্চিক হচ্ছেন সিংহ লগ্নের জাতকের বন্ধুস্থানের মালিক। মঙ্গলের ঋনাত্মক ঘর। তাই মেষের ন্যায় মঙ্গল বৃশ্চিকে ফল দিতে পারে না। সেই কারনে সিংহের জাতকজাতিকা সবাইকে পরমাত্মীয় ভেবে প্রান মন দিয়ে সকলের উপকার করে। কিন্তু তার বিনিময়ে ব্যর্থতা পায়।

আয়ুযােগ - এদের ৬৪ বৎসরে ফাঁড়া থাকে ঐ ফাঁড়া কেটে গেলে ৭৬ বৎসর বয়স থেকে প্রায় ৯০ বৎসর বয়স পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মকর লগ্নের মানুষের স্বভাব, চরিত্র, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য

ধনু লগ্নের মানুষের স্বভাব, চরিত্র, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট