কুম্ভলগ্নের মানুষের স্বভাব, চরিত্র, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য

কুম্ভ লগ্ন

দেহভাব ও প্রকৃতি -কুম্ভের জাতক-জাতিকারা সাধারনতঃ স্থূল দেহী, শ্যামবর্ণ, সৎ প্রকৃতির হয় । এরা নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গঠন করে, কারন আত্মীয় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে এদের তেমন কোন মিল থাকেনা। এরা ধার্মিক প্রকৃতির, সঙ্গীত প্রিয় এবং অল্প কথা বলে । তবে কেউ যদি এদের মন যুগিয়ে চলতে পারে তবে বিশেষ লাভবান হওয়া যায় । এরা নির্জনতা প্রিয়, কল্পনাপ্রবণ দার্শনিক ভাবযুক্ত ও বুদ্ধিমান হয় । এদের মধ্যে বড় হবার প্রচেষ্টা প্রচুর থাকে । কিন্তু জীবনে চলার পথে কারোর কাছে ব্যাথা পেলে তাকে চিরকালের জন্য শত্রুর চোখে দেখে ।

বিদ্যাস্থান-কুম্ভের জাতক-জাতিকাদের বিদ্যাস্থান হল মিথুন রাশি ।মিথুনের অধিপতি বুধ শনির মিত্র, তাই কুম্ভরাশির লোকেরা ডাক্তারী বিদ্যার যে কোন শাখায় পারদর্শিতা লাভ করতে সক্ষম হয় ।

অন্যান্য - এই অঙ্গ গুলো বড়ো থাকলে মেয়েরা হয় সৌভাগ্যবতী

কর্মজীবন – প্রত্যেকটি জাতক/জাতিকারই বিদ্যাঅনুসারে কর্ম নির্ধারিত হয় । কিছু সংখ্যক ব্যতিক্রমের তালিকায় স্থান পান । কিন্তু গ্রহবিপর্যয়ে অল্প শিক্ষিতএবং কিছু বিপথে পরিচালিত হন। তবে সাধারণ অবস্থায় কুম্ভের জাতক/জাতিকার লােহা/স্টিল, খাদ্যদ্রব্য, সােনা, মূল্যবান রত্ন, গ্যাসীয় পদার্থ, ব্যবসায় ও আইনজ্ঞ, পরামর্শদাতা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং, আবহাওয়াবিদ ইত্যাদির কোন জীবিকা গ্রহন করেন। 

বিবাহ - সিংহ রাশি কুম্ভের জাতক/জাতিকাদের বিবাহ স্থান, সিংহরাশির অধিপতি রবি হলেন শনির পরম শত্রু। তাই কুম্ভের জাতক/জাতিকারা বিবাহিত জীবনে অসুখী হয় এবং এদের মধ্যে প্রচন্ড রকমে মতের অমিল হয়।

সন্তানস্থান - এদের সন্তানস্থান হল মিথুন রাশি। ক্লীবলিঙ্গ কুম্ভাধিপতি শনি ও বুধ। তাই এদের পুত্র কম হয় এবং কন্যা বেশী হয়। এদের সন্তান স্থান শুভ হয়। এদের সন্তানদের মধ্যে কেউ গায়ক বা ডাক্তার হয়। এদের ছেলেমেয়েরা উন্নতমানের হয়।
 
অন্যান্য - এই কয়েকটি জিনিস ঘরে রাখুন, জীবনে কোনদিন টাকা-পয়সার অভাব হবেনা

ভাগ্যস্থান –এদের ভাগ্যস্থান তুলা অধিপতি হল শুক্র।এরা সৌখিনদ্রব্য, গন্ধদ্রব্য পােশাক পরিচ্ছদ, তুলা, রেশম ইত্যাদি দ্রব্যের ব্যবসায়ের সাথে যােগাযােগ থাকলে এদের ভাগ্যের উন্নতি হয়। এদের মধ্যে কাজের প্রবনতা থাকে বলে কখনই এরা অনাহারে থাকেনা।

আয়স্থান -এদের আয়স্থান হল ধনুরাশ,বৃহস্পতি হলেন ধনুরাশির অধিপতি। পরস্পর নিরপেক্ষ হল বৃহস্পতি ও শনি। সৎপথে থাকলে এদের আয় ভালই হয়। এরা দৈবধন বা লটারীতে টাকা পেতে পারে। তাছাড়া খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায় ও উন্নতি করতে পারে।