তিথির সুরে লেখা আত্মার দিনপঞ্জি
![]() |
MyAstrology |
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে আমাদের আত্মিক ও মানসিক ওঠানামা অনেকাংশে নির্ভর করে তিথি এবং চন্দ্রকলার গতিবিধির উপর। প্রতিটি পক্ষ—শুক্ল ও কৃষ্ণ—পনেরোটি তিথি নিয়ে গঠিত, এবং প্রতিটি তিথির রয়েছে নিজস্ব মানসিক তরঙ্গ। MyAstrology-র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তিথির রাশিচক্র অনুযায়ী মানুষের ভাবপ্রবণতা, রাগ, বিষাদ বা উদ্দীপনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। জ্যোতিষের এই গভীর বিশ্লেষণ বর্তমানে অনলাইন astrology consultation-এর মাধ্যমেও জানা সম্ভব।
প্রথম তিথি—প্রতিপদ—নতুন সূচনার প্রতীক। একে মানসিক স্পৃহা ও আবেগীয় ঋদ্ধির দিন বলা হয়। ত্রয়োদশী থেকে অমাবস্যার দিকে গেলে মনের গভীরে নির্জনতা ও আত্মচিন্তার ঝোঁক বাড়ে। Prodyut Acharya তাঁর ব্লগে তিথি অনুযায়ী মানসিক গতিপ্রবাহের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ভিডিও বিশ্লেষণ অনুসারে তিথি মনস্তত্ত্বের সঙ্গে কুণ্ডলিনী শক্তির সাদৃশ্যপূর্ণ।
পূর্ণিমা—চন্দ্রের পূর্ণতা—মন ও হৃদয়ের সর্বোচ্চ প্রসার। এদিন আবেগ প্রবল হয়ে ওঠে এবং সৃষ্টিশীলতা চূড়ান্ত রূপ নেয়। কবিগুরুর রচনাতেও পূর্ণিমার এই চেতনা ধরা পড়ে। অপরদিকে অমাবস্যা—অন্ধকার, শূন্যতা ও আত্মশুদ্ধির প্রতীক। এই দ্বন্দ্ব-যুগল মানবজীবনের এক গূঢ় দর্শন রচনা করে। বাংলা জ্যোতিষ ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই চক্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবনযাপন করলে মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।
তিথির সূক্ষ্ম প্রভাব শুধু অনুভবেই নয়, ব্যবহারিক জীবনেও স্পষ্ট। যেমন, অষ্টমী তিথিতে দেবী শক্তির প্রভাব মানসিক দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাসে অনুপ্রাণিত করে। আবার একাদশীর দিনে আত্মসংযম এবং উপবাস মানসিক শুদ্ধি আনে। এই তিথিগুলি অনুসরণ করে আত্মশক্তি ও স্থিতধী মন গঠন সম্ভব। Astrology Blog-এ এই দিকগুলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
ভারতীয় astrology months অনুসারে তিথি ও রাশিচক্রের যোগসূত্র বিভিন্ন রাশির মানুষের মানসিকতা গঠনে প্রভাব ফেলে। যেমন কর্কট রাশির জাতকদের জন্য পূর্ণিমা দিনের ভাবপ্রবণতা বেশি তীব্র। Online Jyotish guidance গ্রহণ করে তিথি অনুযায়ী মানসিক অবস্থা জানা সম্ভব।
তিথি ও চন্দ্রচক্র মন ও শরীরের উপর যেমন প্রভাব ফেলে, তেমনি এগুলো দৈনন্দিন কর্মে সফলতা ও ব্যর্থতার দিকও নির্ধারণ করতে পারে। Instagram page-এ প্রতিদিনের তিথি ও তার মানসিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়। এই উপলব্ধি থেকে আত্মজ্ঞান ও চিন্তাধারার পরিপক্বতা গড়ে ওঠে।
সদগুরু, জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য, এবং জ্যোতিষ Acharya Prodyut সকলেই চন্দ্র ও তিথির মাধ্যমে মানবচেতনার গভীর রহস্য অনুধাবন করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক মনস্তত্ত্ব ও নিউরোসায়েন্সের সাথে মিলিয়ে দেখতে গেলে, Freud ও Jung-এর তত্ত্বের মধ্যেও চন্দ্রসদৃশ প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়।
শেষমেষ বলা যায়, প্রতিটি তিথি আমাদের আত্মার এক একটি অভিব্যক্তি। এই MyAstrology Ranaghat কেন্দ্রে প্রতিদিন তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধ্যান, রত্ন এবং মানসিক অনুশীলনের পরামর্শ দেওয়া হয়। এই তিথিগুলোর রাশিচক্রগত প্রভাব ও মনের সমন্বয় জানলে জীবনে স্থিতি ও মঙ্গল আনতে পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন