বারো মাসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে
![]() |
MyAstrology |
‘বাঙালি জ্যোতিষ’ মতে, বারোটি মাস বারোটি শক্তি—বৈশাখ যেমন কর্মের মাস, শ্রাবণ ত্যাগের। অভির মনে প্রশ্ন: যদি ঋতুর ভিতরেই থাকে মানসিক ভাঙাগড়া, তবে কি আত্মিক ঋতুচক্রও আছে? যেমন কার্তিকে হৃদয়ে আসে নির্জনতা, আর মাঘে আত্মমগ্ন হয়ে ওঠে সে।
আধুনিক মনোবিজ্ঞান বলে, আবহাওয়া আমাদের মুডকে প্রভাবিত করে। অথচ ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রে এটা বহু আগে থেকেই বলা হয়েছে। ‘MyAstrology’–র বিশ্লেষণ অনুযায়ী, রাশিচক্র ও বাংলা মাসের মিলন ঘটায় ব্যক্তিত্বের দোলাচল। এই দোলাচলের মধ্যে দিয়ে অভি খোঁজে নিজস্ব ঋতুরূপ—একটি মৌসুম, যেখানে সে নিজেকে পায় নিঃশব্দ অথচ পরিপূর্ণ।
বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঋতুর বদলে বদলায় হরমোনাল ব্যালান্স, যা আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ভারতীয় দর্শন বলে—ঋতু শুধু আবহাওয়া নয়, মানসিক চেতনার পরিবর্তন। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অভি উপলব্ধি করে, আশ্বিন মানে অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য, আর অগ্রহায়ণ তাকে শিখায় ধৈর্য ও অপেক্ষার গুরুত্ব।
চৈত্রে এসে অভি বুঝতে পারে, প্রত্যেক মাস এক-একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়: “তুমি কি পাল্টাতে পারো?” তার উত্তর সে খোঁজে আত্মজ্ঞানে, জ্যোতিষবিশ্বাসে ও ঋতু দর্শনে। একটি পরামর্শ মেলে—বছরের প্রতিটি সময় নিজেকে বুঝবার জন্য একটি দরজা খুলে দেয়।
বাঙালিরা জানে, বৈশাখে বিয়ে শুভ, কিন্তু কেন? জ্যোতিষচর্চা বলে—এই মাসে শুক্র-গ্রহের অবস্থান প্রেমে দৃঢ়তা আনে। অভি নিজেও বুঝতে পারে, কোন মাসে কাকে ফোন করা উচিত, কবে কাজ শুরু করলে সফল হবে। এক গভীর উপলব্ধি—জ্যোতিষ এক ধরনের সময়জ্ঞান।
ঋতুর পর ঋতু, মাসের পর মাস, অভি ভাবে—জীবন যদি একটা ঋতু হয়, তবে কোন মাসে তার মুক্তি লুকিয়ে আছে? কার্তিকে একা লাগে, মাঘে অবসাদ, কিন্তু ফাল্গুনে আবার সে লেখে কবিতা। সময়ের চক্রে ঘুরতে ঘুরতে সে একদিন পৌঁছে যায় নিজের আত্মঋতুতে।
এইভাবে ‘MyAstrology’-র সহায়তায় সে বুঝতে শেখে—Indian astrology months কেবল উৎসব নয়, আত্মবিকাশের সিঁড়িও। Bengali calendar astrology আজ তার জীবনের আয়না। সে এবার প্রস্তুত—নতুন মাস মানেই নতুন বোধ, নতুন সম্ভাবনা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন